1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

এই দুই হাজার বাইশ সালের আগষ্টে বের বের হল, রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক মরহুম আজিজুলহক ইকবালের রাজনৈতিক উপন্যাস “হাজার সূর্য্যরে গান”। কুড়ি বছর পর গ্রহ্ণকার এর পূনর্জাগরনঃ কুড়িতম মৃত্যো বার্ষিকীর মোনাজাত

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৪৩ বার পঠিত

। মুজিবুর রহমান মুজিব।

ষাটের দশকের খ্যাতিমান কথা সাহিত্যিক- সাংবাদিক আজিজুল হক ইকবাল দুই হাজার দুই সালের নবেম্বর মাসে ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে অকালেইহলোক ত্যাগ করেছিলেন। ষাটের দশকের লিখিয়ে এবং স্থানীয় ও জাতীয় পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লিখলেও সেকালথেকে এখন পর্য্যন্ত দূঃখও দূর্ভাগ্য জনক ভাবে তার কোন গ্রহ্ণ বের হয়নি। তার কানাডা প্রবাসি একমাত্র সু- পুত্র জিয়াউল হক ফেরদৌস পিতার মত লেখক নাহলেও গ্রহ্ণসূহৃদ ও শিক্ষানুরাগি বটে। পিতার মৃত্যুর পর বিভিন্ন সময় পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে এসে মরহুম পিতার বিত্ত বেসাত সম্পত্তির সন্ধান কিংবা স্বজনদের সঙ্গেঁ সংঘাত বিরোধ নয় বরং প্রিয় পিতার হারিয়ে- ছড়িয়ে- ছিঠিয়ে যাওয়া লেখা গুলির অনুসন্ধান করতঃ প্রকাশের আপ্রান চেষ্টা চালাতে থাকে, আমিও আমাদের সঙ্গেঁ যোগাযোগ ও পরামর্শ করতে থাকে। আমরা একে অন্যের সহপাঠি- সহযাত্রী ও একসঙ্গেঁর লেখক হিসাবে তাঁর একটি রাজনৈতিক উপন্যাস এর খবর জানি- তার দীর্ঘ দিনের চিন্তা চেতনাও ধ্যান ধারনার ফলও ফসল এই হাজার সূর্য্যরে গান। তখন বন্ধুবর ইকবালের পৈত্রিক বাস গৃহ হক ভিলা টিন- বেটনের- জীর্নশীর্ন পর্ন কুঠীর আধুনিক জমানার মত বুক সেলফআলমিরা ওয়ার্ড ড্রোব চেষ্টা অব ড্রয়ার্স এর ব্যবস্থা ছিলনা। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আক্তার উদ্দিন আহমদ মরহুমের এই টঙ্গীঁঘরটি ছিল আমি, বন্ধুবর দেওয়ান গোলাম ছরোওয়ার হাদি গাজি এবং ইকবালের আড্ডা খানা- অস্থায়ী ঠিকানা। ঠঙ্গীঁঘরের পুরাতন বারোয়ারী পালংকে আমরা তিনবন্ধু গলাগালি করে একত্রে শোতাম। আমাদের ভালোবাসা বন্ধুত্ব ও ভাব ছিল গলায় গলায়। আফসোস আমার বন্ধুবর হাদী গাজী ও এখন পর লোকে। এই পর্ন কুঠীরকে ইকবালের প্রবাসীপুত্র জিয়াউলহক ফেরদৌস বহুতল বিশিষ্ট আকর্ষনীয় দালান গৃহে রূপান্তরিত করেছে। তার ভগ্নি দ্বয়কে, ভালো ঘরে- ভালোবরে পাত্রস্থ করেছে। রাজনৈতিক উপন্যাসহাজার সূর্য্যরে গান”- প্রকাশের জন্য জিয়াউলহক ফেরদৌস বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল ইসলাম শেফুলকে দায়িত্ব ভার প্রধান করে, আমিও উক্ত গ্রহ্ণে একটি পরিচিত মূলক ভূমিকা লিখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করি। আমিও ইদানিং কালে অসুস্থ, বার্ধ্যক্য জনিত বহুবিধ জটিল কঠিনব্যাধিতে আক্রান্ত সম্প্রতি একটি ইউরিন্যাল সার্জারি এবং কভিড আক্রান্তির পর প্রায় শয্যাশিয়ী। সোফাশায়ী। তবুও আমি ও এনআই, শেফুল এর নামে এন,আই, আজিজুলহক ইকবাল এর প্রথমও একমাত্র গ্রহ্ণের প্রকাশনা উৎসবের আমন্ত্রন পত্র ছাপাহল। হোটেল রেষ্ট ইন- এর সেদিনের মোড়ক উম্মোচনী সন্ধ্যাটি ছিল জমজমাট। আলোঝলমল। কানায় কানায় পূর্ন। অপারেশনের শয্যাশায়ী রুগী হয়েও সতেরোই আগষ্টের সেই মোড়ক উম্মোচনী শুভানুষ্টানে আমাকেই পৌরহিত্য করতে হল। মরহুম গ্রহ্ণকারের প্রিয়জন, জেলা সদরের মাননীয় সাংসদ গ্রহ্ণ সুহৃদ নেছার আহমদ শোকের মাসের ব্যস্থতার মাঝেও প্রধান আতিথির আসন গ্রহন করেছেন, মরহুম গ্রহ্ণকারের আরেক প্রিয়জন সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সাংসদ সুলেখিকা সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিনও এসেছেন সম্মানিত অতিথি হিসাবে। বক্তাগন মরহুম গ্রহ্ণকার আজিজুলহক ইকবালের উজ্জলস্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্দা এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে প্রকাশক- লেখকপুত্র জিয়াউলহক ফেরদৌস এর পিতৃভক্তি ও সাহিত্য প্রীতির ভুয়শী প্রশংসা করতঃ মরহুম লেখকের অপ্রকাশিত রচনা বলী প্রকাশের দাবী জানান। সুধীসমাজের দাবীর প্রেক্ষিতে জিয়াউলহক ফেরদৌস মরহুমের অপ্রকাশিত রচনাবলি প্রকাশ এবং একখানা স্মারক গ্রহ্ণ প্রকাশের ঘোষনাদেন।আমাকে সেদায়িত্ব ভার নিতে দাবীজানায়। আমরা সকলেই তাকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বসদেই। কথাশিল্লী আজিজুলহক ইকবালের রাজনৈতিক উপন্যাস- হাজার সূর্য্যরে গান- বাংলাও বাঙ্গাঁলির জাতীয় জীবনের গৌরবময় অধ্যায় এগারো দফার ছাত্র গন আন্দেলনকে কেন্দ্রকরে। উপন্যাসের শুরু “সংগ্রাম ছাড়া মুক্তি নেই। ইতিহাস তার অমর অ¤øান স্বাক্ষী। ফ্রেডারিক ও গলাসবলেছন মানুষের অধিকার প্রতিষ্টার গোটাইতিহাস এই স্বাক্ষবহন করে যে সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই সব দাবীপ্রতিষ্টা হয়েছে। উপন্যাসের সমাপ্তি বাঙ্গাঁলী জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের পূর্ন বিকাশও বিজয়ের মধ্যমে। একশত চৌচাল্লিশ পৃষ্টার উপন্যাসের পরিসমাপ্তি এই ভাবে “মিছিলকারি ছাত্র- ছাত্রীরা এখন শ্লোগান দিচ্ছে- রক্ত সূর্য্য উঠেছে, বীর বাঙ্গাঁলি জেগেছে। জাগোজাগো বাঙ্গাঁলি জাগো- এগারো দফা আদায় করো-”।সাবের স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকে মিছিলটার দিকে। মিছিলটার দিকে থাকিয়ে থাকে শাহানাও। উভয়ের চোখে মাকেও মায়ের সন্তানদের ভালোবাসার তীব্র আকুলতা। ওরা দু জন দোতলার সিড়ি বেয়ে নীচে নামতে থাকে। মিছিলটা তখনও চলছে। মিছিলটা চলছে-”। গ্রহ্ণকার, আজীবন নির্লোভ মুজিব সেনিক ইকবাল এর উপন্যাস হাজার সূর্য্যরে গান- এ- ও স্বদেশপ্রেম ও স্বাদেশিকতার কথাবলেছেন। গ্রহ্ণের ভাষা সহজ। সরল। ছন্দময় গতিশীল। ঝর ঝরে। রূচীশীল প্রচ্ছদ রূদ্র ভাস্কর এর। গ্রহ্ণস্বত্ব জিয়াউলহক ফেরদৌস। প্রকাশকাল, আগষ্ট ২০২২ সাল প্রকাশ করেছেন কোরাস, ওয়াছির প্লাজা, ২৭০ এম সাইফুর রহমান সড়ক, চৌমুহনা মৌলভীবাজার , বর্ন বিন্যাস, আহমদ শাকের। উৎসর্গ যথাযথভাবেই গ্রহ্ণকারের সহধর্মিনী- নুরুন্নাহার ইকবালকে। বোর্ড বাধাই ঝকঝকে নির্ভূলছাপার সাদা অফসেট কাগজের গ্রহ্ণ খানির মূল্য তিনশত পঞ্চাশ টাকা খুব বেশিনয়। সেদিনের সেই বর্নীল সন্ধ্যায় গ্রহ্ণও গ্রহ্ণকারের উপর সরসও প্রান বন্ত আলোচনায় প্রাজ্ঞ ও বিজ্ঞ বক্তাগন এক বাক্যে গ্রহ্ণের মান এবং গ্রহ্ণকারের উন্নত জীবন দর্শনের উপর আলোক পাত করতঃ গ্রহ্ণকার পুত্র জিয়াউলহক এবং ফেরদৌস এর ভূয়শী প্রশংসা করেন। সত্যিকার অর্থেই নৈতিকতার ক্রমোনাতি এবং দূবৃত্তায়ন ও বানিজ্যায়নের এই বাজারে গ্রহ্ণকার পুত্র ফেরদৌস এর এই ভূমিকা প্রশংসনীয়। মধ্য যুগে প্রেমের সমাধি তাজমহলের নির্মাতা মুঘল স¤্রাট শাহজাহানের জীবদ্দশায়ই পুত্র চতুষ্টয় দিল্লীর মুঘল সিংহাসন লাভের আশায় ভ্রাতৃঘাতি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে মুঘলশাহজাদা ঔরঙ্গঁজীব তিন ভাইকে হটিয়ে বৃদ্ধ পিতা স¤্রাট শাহজাহানকে আগ্রাদূর্গে বন্দীকরে দিল্লীর মুঘলসিংহাসন দখল করেন। শাহজাদা আওরঙ্গঁ জেব মুঘল স¤্রাট জিন্দাপীর আলমগীর আওরঙ্গঁজেব হিসাবে খ্যাতি অর্জন করলেও বৃদ্ধ পিতার সঙ্গেঁ বেআদবী- অসৌজন্য মূলক আচরন এবং মানষিক নির্য়্যাতনের কারনে তার সুশাসন এবং রাজ্যজয় মুঘলইতি হাসে প্রশ্নবিদ্দ। প্রিয় পুত্রের হাতে বন্দী বয়োঃবৃদ্ধ মুঘলস¤্রাট শাহজাহানের আকুল আর্তনাদ- আহাজারি মর্ম পীড় ও মর্ম বেদনার কথাও কাহিনী করুন ভাবে চিত্রিত করেছেন ডি. এল. রায় তাঁর ঐতিহাসিক শাহজাহান- নাটকে। গৃহবন্দীস¤্রাট শাহজাহান এমনসন্তান যেনো আর কারো না হয় তেমন কামনা করেছেন। মানবসভ্যতার ক্রম বিকাশ, অগ্রগতি ও প্রগতি, শিক্ষাও জ্ঞান বিস্তার এর এই যুগেও ক্ষেত্র বিশেষ কিছু ব্যতিক্রমবাদে বৃদ্ধ পিতা মাতা অসহায় করুনার পাত্র নির্য্যাতনের শিকার, দিন দিন বাড়ছে “ওল্ড হোম” বৃদ্ধ নিবাস এর সংখ্যা। বিশ্ব বাবা দিবস এলে অসহায় বয়োঃবৃদ্ধ পিতা- মাতাকে নিয়ে টি.ভি.তে টক শো হয়, পত্র পত্রিকায় কলাম লেখেন দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক সাহিত্যিক গন। দিবসভিত্তিক আলোচনা- আবেগ- উত্তেজনা শেষে বয়োঃ বৃদ্ধ অসহায় পিতা মাতা অবহেলা- অপমান ও নির্য্যাতনের শিকার হন। এই নিয়ে পত্র পত্রিকায় প্রতিনিয়তই সচিত্র করুন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মাতৃ ভক্ত জাতীয় শিল্পী নুকুল কুমার বিশ্বাস তোমরা যারা মাকে ভালোবাসো না তাঁরা আমার এ গান শুনোনা গান গেয়েবলে আকুল কান্নায় ব্যাকুল হন।বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিক জীবন জীবীকার প্রয়োজনে প্রবাসে বসবাস করে ব্যবসা বানিজ্য চাকরি করে বিপুল পরিমান বৈদশিক মুদ্রা অর্জন দেশে প্রেরন করতঃ বাংলাদেশী বৈদেশিকমুদ্রার ভান্ডারকে মুজবুত করছেন দেশীয় অর্থনীতির ভিত্ত ও মজবুত হচ্ছে। “রেমিটেন্স যোদ্ধা” হিসাবে খ্যাত এসব প্রবাসীগন দেশে বিদেশে সমাদৃত সম্মানিত। কিন্তু কিছু সংখক প্রবাসি বিদেশে গিয়েই দেশের কথা- দেশের কৃষ্টি সংস্কৃতির কথা বেমালুম ভূলে গিয়ে লাল পানি পান করে লাল মেমসাহেব দের পিছু পিছু করে কাউকে বগলদাবা করে বাংলিশ হয়ে বিদেশে দেশের মান সম্মান হানি করেন, দেশে এসে পাউন্ড-ডলার-রিয়াল-দিনার এর গরমাই দেখান। “ভাতকে অন্ন কিংবা রাইস বলেন, কেরামত উল্লাহরা অবলীলা ক্রমে “ক্রেমেট এ্যালী” হন, কাককে ময়না বলে ক্রয় করে বাজারের ভারসাম্য বিনষ্ট করেন। গ্রন্থকার ইকবাল পুত্র ফেরদৌস তার ব্যতিক্রম। কানাডায় অর্থ বিত্ত প্রাচুরর্যের মধ্যে বড় হলে বেড়ে উঠলেও বাপকা বেটাজিয়াউল হক ফেরদৌস পিতার মত আপাদমস্তক নিখাদ বাঙ্গাঁলি। দেশীয় কৃষ্টি সংস্কৃতি তার অন্তরে। অনুভাবে। দেশে এসে পিতৃ-মাতৃ কুলের স্বজনদের সঙ্গেঁ সাক্ষাত, প্রয়াত পিতার বন্ধু মহলের সঙ্গেঁ প্রয়োজনীয় যোগাযোগ, অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর স্বজনদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া ও করা তার কর্তব্য বলে তিনি মনে করেন। পিতা মাতার পৈত্রিক বাসগৃহ গির্জাপাড়াস্থ পর্ন কুঠীর “হক ভিলাকে” একটি দৃষ্টি নন্দন স্থাপনার দর্শনীয় বহুতল ভবন নির্মান শেষে প্রয়াত পিতা গ্রহ্ণকার আজিজুলহক ইকবালের স্বপ্ন পুরনের চেষ্টায় আছেন সুপুত্র জিয়াউল হক ফেরদৌস। রাজনৈতিক উপন্যাস “হাজার সূর্য্যরে গান” এর গ্রহ্ণকার রাজনৈতিক চিন্তাবিদ আজিজুল হক ছিলেন একজন মানব প্রেমিক, সৎ, আদর্শবান, সহজ, সরল সাদা মনের মানুষ। মহৎ মানুষ। তাঁর পরিবার বংসানুক্রমে শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত ও অভিজাত সম্প্রদায়ের হলেও অর্থ কড়িরছড়া ছড়ি ছিল না। সামান্যশ’ কয়েক টাকা মাইনের বেসরকারি স্কুল শিক্ষক হিসাবে তাঁর বুক পকেট খালি হলেও বুক ভরা ছিল ভালোবাসাও অফুরান মানব প্রেম। দু চোখে ছিল স্বপ্ন-সমাজ উন্নয়নের। দেশ গড়ার। আমরা এক সঙ্গেঁ আটষট্টি সালের গ্রেজুয়েট। পারিবারিক ভাবে আমি ছিলাম অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। চাকরি ব্যবসা আয়রোজগার সংসারের দায়িত্বভার নেয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না, পিতা মাতা শুধু চেয়েছিলেন লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হতে। ফলতঃ আমি ঢাকাবিশ্ব বিদ্যালয়ে মাষ্ট্রার্স ও আইন অধ্যায়নে ঢাকায় চলে যাই। ইকবালের ছাত্রজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। স্বাধীনতা উত্তর কালে চাকরি ও ব্যবসাবানিজ্যের ব্যাপক সুযোগ থাকলেও ইকবালের প্রিয় দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলেও ব্যবসা কিংবা চাকরিতে যোগ দিল না নিরীহ নিলোর্ভ ভদ্রলোক আজিজুলহক ইকবাল। ইতি মধ্যে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ফরেজগার ছবরগার মুসলিম রমনী আদর্শ গহিনী নুরুন্নহারকে। অর্থ বিত্তহীন এই নব দম্পতি কিছু নাইর মধ্যে ও চাই চাই চিল না। সিমাহীন সুখ ছিল। শান্তি ছিল। স্বাধীনতা উত্তর কালে কাশিনাথ আলাউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এর ভূমিতে স্কুলের মালিকানাধীন বানিজ্যিক ভবন বিতান স্তাপিত হলে শিক্ষাবিদ সাংবাদিক আজিজুল হক ইকবালের ক্ষমতা থাকা সত্বেও বেনামীতে স্কুলের কোনো দোকান কোঠা লিখে নেয়া হয় নি, যা আজকাল হর হামেশা হচ্ছে। এই বানিজ্যিক বিতানে একটি দোকান কোঠা ভাড়া নিয়ে দশ হাজার টাকা পূজি বিনিয়োগ করে “চতুরঙ্গ” নামে একটি লাইব্রেরী ও অফিস ষ্টেশনারির দোকান করে দিয়ে ছিলাম আমি। বন্ধু ইকবালকে নয়, কনিষ্ট ভগ্নি পতি ইকবালকে সেটা ছিল আমার উপহার। তখনকার দশহাজার টাকা ছিল এখনকার দশ লক্ষ টাকার ও অধিক। বলাবাহুল্য ব্যবসা প্রতিষ্টান “চতুরঙ্গঁ” বেশি দিন স্থায়ী হয় নি। লাল বাতি জ্বলে ছিল। কারন ইকবাল কিংবা আমি কেউই ব্যবসায়ী ছিলাম না। ব্যবসা বুঝতাম না এখন পর্যন্ত বুঝিনি।স্বাধীনতা উত্তর কালে আদম ব্যাপার, প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে, দালালি ভূমির দালালি, ঘুষ সুদ, খেয়ে অনেক পথের ফকির আমীর কোটি পতি পূজি পতি শিল্পপতি হলেও ইকবাল এসব কিছুই করেন নি। কিছুই হন নি। বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে অনেকেই ধান্দা মান্দা প্রতারনা করে আমার অনকে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিত্তহীন বন্ধু আজিজুলহক ইকবাল এক টাকাও আত্মসাৎ করেন নি প্রতারনা করেন নি। গ্রহ্ণকার ইকবাল এর মৃত্যোর কুড়ি বছর পেরিয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে তিনি পরিচিত নহেন। হাজার সূর্য্যরে গান গ্রহ্ণের মোড়ক উম্মেচনী অনুষ্টানের সময় আমি অপারেশন উত্তর শয্যাশায়ী ছিলাম। শুভানুষ্টানের দাওয়াত দিয়েছিলাম মোবাইল মারফত। আমার ফোন পেয়ে আমার একজন প্রিয় কনিষ্ট কলিগ বলেছিলেন ইকবাল?কোন ইকবাল, বকশি ইকবাল না কি। সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদবকশি ইকবাল আহমদ হাল আমলে একটি পরিচিত নাম। ষাটের দশকের খ্যাতিমান কথা সাহিত্যিক আজিজুলহক ইকবাল এখন স্মৃতির গভীরে হারিয়ে যা বার পথে। সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব এই মানুষ প্রসঙ্গেঁ আমাদের মহান স্রষ্টাও প্রতি পালক আল্লাহ পাক আল কোরআনে বলেন- “কুল্লিন নাফসনি জ্যায়কিাতুল মউত”। জগতের সকল মানুষকেই একদিন মৃত্যোর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। মানুষ মরনশীল হলেও একজন কাজের মানুষ, একজন কর্ম্মবীর বেঁচে থাকেন তাঁর কাজের মাঝে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই কবে বলেছিলেন“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। বিশ্বকবির এই বেঁছে থাকারআকুল আকাংখা শারিরীক ছিল না, ছিল কার্য্যকি কাব্যিক। এখনওবিশ্বকবি বেঁেচে আছেন তাঁর কাজের মাঝে।আজিজুল হক ইকবাল তার কোঁচ , লালিয়া ইত্যাদি ছোট গল্পে আমাদের প্রাত্যহিক আট পৌরে জীবনের কথা ও কাহিনী বলেগেছেন সুনিপুনভাবে।ঔপন্যাসিক আজিজুল হক ইকবালের রাজনৈতিক উপন্যাস “হাজার সূর্য্যরে গান” এ গ্রহ্ণকার আজিজুল হক ইকবাল এর পূনর্জাগরন হল। ২৫ শে নবেম্বর আজিজুল হক ইকবালের বিশতম মৃত্যো বার্ষিকী। তাঁর প্রিয়তমা পতœী পরলোকে। পুত্র, কন্যা, নাতি, নাতনি পর বাসে। হকভিলায় প্রানের স্পন্দন জীবনের জয়গান নেই। নীরব নিস্তব্দ। তাঁর কোন সংঘ, সমিতি, সংসদ নেই। তার বিশ তম মৃত্যো বার্ষিকীতে তাঁর হক ভিলার সমুখস্ত জেলা পরিষদ জামে মসজিদে বাদ মাগরিব মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মৌলভীবাজার পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এক স্মরন সভার আয়োজন করেছি, তাঁর হত ভাগ্য বন্ধু আমি। আপনাদের আমন্ত্রন।ঔপন্যাসিক আজিজুল হক ইকবাল এর রাজনৈতিক উপন্যাস “হাজার সূর্য্যরে গান” এর বহুল প্রচার এবং মরহুম বন্ধুবরের রুহের মাগফিরাত, প্রবাসী পুত্র কন্যা, নাতি, নাতেিনর জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা।
[মরহুমের সহপাঠি বন্ধু। মুক্তিযেদ্ধা। এডভোকেট হাইকোট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..